মেডিকেল  ছাত্রীর মৃত্যু ।।  তাঁর  লড়াইয়ে বাদ সাধলেও – ফুঁসছে ভারত

মেডিকেল ছাত্রীর মৃত্যু ।। তাঁর লড়াইয়ে বাদ সাধলেও – ফুঁসছে ভারত

2012-12-30-12-11-45-50e02f81dca34-india ‘লড়াই না করে কোনোভাবেই হারব না’—গত শনিবার পুলিশকে দেওয়া জবানবন্দিতে এমন কথা বলেছিলেন ভারতে গণধর্ষণের শিকার মেডিকেলের ছাত্রী। কিন্তু মৃত্যু তাঁর এ লড়াইয়ে বাদ সাধল। সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে   গত শনিবার স্থানীয় সময় ভোর চারটা ৪৫ মিনিটে চিকিত্সাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

 মেয়ে অবশ্য বাবা-মাকে বলেছিল, আমি বাঁচতে চাই। তার এ ইচ্ছাশক্তিই যে তাকে ১৩ দিন বাঁচিয়ে রেখেছিল সে কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকরাই। আর বাবা ভেবেছিলেন, ‘বর্ণ ফাইটার’ কখনো হারবে না। তবে ২৩ বছরের মেয়েটি যখন আস্তে আস্তে মৃত্যুর  দিকে এগিয়ে গেছে, মাথার কাছে দাঁড়িয়ে তিনি সাহস জুগিয়েছেন। মেয়ে আর বাঁচবে না জেনেও প্রতিবাদকারীদের কাছে আবেদন করেছেন শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ দেখাতে। তবে মেয়েটির বন্ধুর পরিবার চেয়েছে, অভিযুক্ত ৬ জনেরই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফাঁসি হোক।

 ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’ জানায়, গণবিক্ষোভের আশঙ্কায় পুলিশ রাজধানীসহ সারা দেশে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। এ ছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন প্রতিবাদস্থলে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে অবরোধের সৃষ্টি করা হয়েছে। বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেওয়া বেশির ভাগই ছাত্র-ছাত্রী। তারা যৌন নিপীড়নবিরোধী কঠোর আইন প্রণয়নের পক্ষে স্লোগান দেয়।

 গত শনিবার হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কেলভিন লোহ বলেছেন, ‘শান্তিতেই মারা গেছেন তিনি। মৃত্যুর সময় স্বজন ও ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তা তাঁর পাশেই ছিলেন।’

কেলভিন জানান, মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে আট সদস্যের বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকদের একটি দল ওই তরুণীর চিকিত্সা করছিল। তবে শরীরে ও মস্তিষ্কে মারাত্মক আঘাতের কারণে তাঁর বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে পড়ছিল। এ কারণেই তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হলো না। তাঁর মস্তিষ্ক, ফুসফুস ও তলপেটে গুরুতর জখম ছিল।ত্যু তাঁর এ লড়াইয়ে বাদ সাধল।

আন্তর্জাতিক