ব্যারিষ্টার রফিকুল ইসালামকে রাজাকার বললেন,নৌপরিবহন মন্ত্রী

ব্যারিষ্টার রফিকুল ইসালামকে রাজাকার বললেন,নৌপরিবহন মন্ত্রী

 বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াকে রাজাকার হিসেবে অভিহিত করেছেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। তিনি বলেছেন, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া রাজাকার। আমি জানতাম না তাঁর বাড়ি কোথায়। টক শোর পর কুমিল¬া থেকে এক  লোক আমাকে চিঠি পাঠিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, আপনি খোঁজ নিয়ে দেখেন ব্যারিস্টার রফিক রাজাকার। এলাকায় সবাই তাঁকে রফিক রাজাকার হিসেবেই চেনে। গতকাল মাদারীপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ের কমিউনিটি সেন্টারে ‘আচমত আলী খান মুক্তিযোদ্ধা কমিউনিটি সেন্টার’-এর নামফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। গত ২২শে অক্টোবর আরটিভির এক টকশোতে বাগযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন শাজাহান খান এবং ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া। এক পর্যায়ে রফিকুল ইসলাম মিয়ার চোখ তুলে নেয়ার হুমকী দেন মন্ত্রী। এদিকে, গতকালের নামফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে নৌ-মন্ত্রী আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাংলাদেশ থেকে ঝেটিয়ে বিদায় করার জন্য যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে তারাই জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে। পৃথিবীর কোন ইতিহাসে নেই কারাগারে বসে মানুষ হত্যা করা হয়। কারাগার এটা একটা অভয়াশ্রম। অথচ এখানেই আমাদের জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। তারা যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আরও শক্তিশালী হতো। বঙ্গবন্ধু হত্যা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, মোস্তাক সরকার যখন পার্লামেন্টে সংসদ সদস্যদের সমর্থনের সভা ডাকেন তখন আমার পিতা মাইক হাতে নিয়ে প্রথমই মোস্তাককে জিজ্ঞাসা করেছেন কেন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে? আপনার পাশে এই সেনা সদস্যরা কারা। বঙ্গবন্ধু হত্যার শোক প্রস্তাব করা হবে। তার বক্তব্য শোনার সঙ্গে সঙ্গেই হলরুমে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। সেদিন মোস্তাকের সেই সভা স্থগিত হয়ে যায়। জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার শাহজাহান হাওলাদারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. নুর-উর-রহমান, পুলিশ সুপার মো. নজরুল হোসেন, জেলা পরিষদের প্রশাসক মুক্তিযোদ্ধা মো. মিয়াজ উদ্দিন খান, মাদারীপুর পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান খান, চৌধুরী নুরুল আলম বাবু চৌধুরী প্রমুখ।

বাংলাদেশ