বেদখল হয়ে যাচ্ছে গাংনীর ভাটপাড়া নীলকুঠির সরকারি জমি। হারাতে বসেছে ঐতিহ্য।

বেদখল হয়ে যাচ্ছে গাংনীর ভাটপাড়া নীলকুঠির সরকারি জমি। হারাতে বসেছে ঐতিহ্য।

gangni vatpara kutiআমাদের মেহেরপুর ডট কম ঃ ভূমি দখলদারদের কারনে গুটিয়ে আসছে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার ভাটপাড়া নীল কুঠির জমি। সেই সাথে শত বছরের ঐতিহাসিক নীলকুঠি ইতিহাস থেকে মুছে যাচ্ছে। আর এসব দখলদারদের চিনলেও অজ্ঞাত কারনে প্রশাসন নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। স্থানীয় ভূমি অফিস সুত্রে জানা গেছে, ২৩ একর অর্থাৎ প্রায় এক শত বিঘা জমির উপর নির্মিত আম,জাম,লিচু,কাঠাল,ও পেয়ারা বাগানে ঘেরা এই নীলকুঠি ভবনটি শত বছরের নীলকরদের ইতিহাস আর ঐতিহ্য ধারন করে আসছে। বর্তমানে কাঁঠাল ও পেয়ারার বাগান স্থানীয় লোকজনের নগ্ন হস্তক্ষেপের কারনে শেষ হয়েছে। এখনও অবশিষ্ঠ আছে বেশ কিছু আম, লিচু ও নারিকেলের গাছ। এসব গাছের ফল বিক্রি করে সরকার প্রতিবছর অর্ধলক্ষাধিক টাকা রাজস্ব আয় করে।।
বন বিভাগ সূত্র জানায়,৩৩ বিঘা জমি বন বিভাগের আওতায় বিভিন্ন প্রজাতির গাছ বনায়ন করা হয়েছে। আশপাশের কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তি জোরদখল করেছে প্রায় ৮ থেকে ১০ বিঘা জমি ।
অবৈধ দখলদাররা নীলকুঠির জমি দখল করার কারনে সরকারকে মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সেই সাথে নীলকুঠির ঐতিহ্য ব্যাহত করছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে নীলকুঠির চারপাশে বালি ও মাটি উত্তোলন করার কারনে ছোট বড় ১০ টি পুকুরের সৃষ্টি হয়েছে। এ সকল বড় গর্তের কারনে মেহেরপুর ভায়া কাথুলী সড়ক টি ধ্বসে পড়ার আশংকা করছে অনেকেই। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুস সালাম বলেন,কোন সরকারী জমি দখল হলে দখলদারদের ছাড় দেয়া হবেনা। দখলদারদের বিরুদ্ধে দ্রত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
মেহেরপুর সংবাদ