ফারুখ আহমেদ, আমাদের মেহেরপুর ডট কম ঃ চারিদিকে ধুমধাম। চলছে বিয়ের আয়োজন। লাল বেনারশি শাড়ী পড়ে বুকে ব্যাথা নিয়ে বিয়ের সাজে সেজেছে খুশিয়ারা খাতুন (১২)। লেখাপড়া শিখে মানুষের মত মানুষ হয়ে সমাজের মাথা উঁচ করে দাঁড়ানোর প্রত্যয় নিয়ে খুশি স্কুলে গিয়েছিল। কিন্তু বিয়ের বয়স না হতেই তার পিতা মাতা তাকে শ্বশুর বাড়ি পাঠানোর বন্দোবস্ত করেছিলেন। কিন্তু তা হয়নি। বাল্য বিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছেন গাংনী সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইমরান আহমেদ। জানা যায়, সোমবার গাংনী উপজেলার পলাশীপাড়া গ্রামের ইনামুল হকের মেয়ে ও স্থানীয় তেঁতুলবাড়িয়া ইসলামীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী খুশিয়ারা খাতুনের সাথে একই স্কুলের দশম শ্রেনীর ছাত্র ও একই গ্রামের তাজুলের ছেলে বিপ¬ব হোসেনের বিয়ের আয়োজন করেছিলেন উভয়ের পরিবার। খুশি এ বিয়েতে রাজি না থাকার কারনে তার সহপাঠিরা বিষয়টি স্থানীয় সচেতন ব্যাক্তিদের মাধ্যমে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আব্দুস সালামকে অবহিত করেন। এরপর সহকারী কমিশনার ( ভূমি) ইমরান আহমেদ ঘটনা স্থলে গিয়ে তিনি উভয় পরিবারকে শিশু বিবাহ নিশিদ্ধ ও এর কুফল সম্পর্কে জানান। সবশেষে উভয় পরিবারের অভিভাবকদের মুছলেকা নিয়ে শিশু বিয়েটি বন্ধ করে দেন। খুশিয়ারা খাতুন জানান, বিয়ে বন্ধ হওয়ায় আমি আবারো স্কুলে যেতে পারবো। আমার আশা পূরণ হবে।