আমাদের মেহেরপুর ডট কম ঃ
যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিদ্যালয়ে উন্মত্ত বন্দুকধারীর গুলিতে ২০ স্কুলছাত্রসহ ২৭ জন নিহত হয়েছে।বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রনায়ক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গভীর মনঃকষ্ট নিয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ছোট্ট শিশুদের বাবা-মা, দাদা-দাদি, ভাই-বোন ও নিহত প্রাপ্তবয়স্কদের পরিবারগুলোর জন্য আজ আমাদের হূদয় ভেঙে গেছে।’এই রাষ্ট্রনায়ক এই অনুভূতি প্রকাশ করেন যুক্তরাষ্ট্রের কানেটিকাটের ঘটনায়। নিউ ইয়র্ক সিটি থেকে ৬০ মাইল উত্তর-পূর্বের কানেক-টিকাট অঙ্গরাজ্যের নিউটাউনের স্যান্ডি হুক প্রাথমিক স্কুলে এ ঘটনা ঘটে। সরকারি স্কুলটিতে কিন্ডারগার্টেন থেকে চতুর্থ গ্রেড পর্যন্ত ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে।
নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, স্কুলে ঢুকে অ্যাডাম লানজা নামের ২০ বছর বয়সী একজন বন্দুকধারী গুলি ছুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের অন্যতম জঘন্য এ হত্যাযজ্ঞ ঘটান। ২০ বছর বয়সী হামলাকারীর নাম রায়ান লানজা। অ্যাডামের মা ওই স্কুলেরই শিক্ষক। মাকে হত্যার পর অ্যাডাম আত্মহত্যা করেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী এক অভিবাবক জানান, বন্দুকধারীর গুলিতে ওই স্কুলের অধ্যক্ষ ও মনোচিকিৎসক মারা গেছেন। ১৯৯৯ সালে কলোরাডোর কলাম্বিয়ান হাইস্কুলে দুই টিনএজার নিজেদের হত্যার আগে গুলি করে ১৩ জন শিক্ষার্থী ও কর্মীকে হত্যা করে। ২০০৭ সালে ভার্জিনিয়ার টেক বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলিতে ৩২ জন নিহত হয়। চলতি বছরের জুলাইয়ে কলোরাডোয় ১২ জন নিহত ও ৫৮ জন আহত হয়।
গতকালের ঘটনার পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদে দুঃখ ও শোক প্রকাশ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কাছে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনও এ ঘটনায় গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে জার্মানি, ফ্রান্স, নরওয়ে, ব্রিটেন ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এ ধরনের ঘটনা বেড়ে চলছে।