আট দিনের যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে বিকেল বিকেল ৫ টা ৪০ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। বিমান বন্দরে তাকে স্বাগত জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী সাহারা খাতুন, আওয়ামী লীগের লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী কর্নেল (অব.) ফারুক খান প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন পর্যন্ত রাস্তায়, বিভিন্ন মোড়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন হাজার হাজার নেতাকর্মী। এ কারণে পুরো ঢাকা শহরেই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর ফেরার রাস্তা দীর্ঘ সময় বন্ধ করে রাখায় রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ অনেক সড়কে কয়েক ঘণ্টা আটকা পড়েন যাত্রীরা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী।
রাজধানীর শাহবাগ-ফার্মগেট-বিজয় সরণি সড়কে যানজট ছিল সবচেয়ে বেশি। কারণ বিজয় সরণি-জাহাঙ্গীর গেট এলাকার রাস্তার দুই ধারে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে অবস্থান নেন। ওই সড়কে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উপচে পড়া ভিড় থাকায় যানজট ছড়িয়ে পড়ে মিরপুর-গাবতলী, মহাখালী-মগবাজার, মহাখালী-গুলশান এলাকায়। এসব রাস্তায় ঘণ্টার ঘণ্টা থেমে ছিল গণপরিবহন। আর থেমে থাকা গাড়িতে ক্লান্ত লোকজন দাঁড়িয়ে ছিলেন অসহায়ভাবে।
প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভানেত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী । বিমান বন্দর এলাকায় দুপুরের পর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী রা জড়ো হতে থাকেন ।এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় চরম দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী। বিমানবন্দরে সংবাদ সম্মলনে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তিনি দারিদ্র্য দূরীকরণে অনন্যসাধারণ অবদানের জন্য সম্মানজনক সাউথ সাউথ পুরস্কার’ বাংলাদেশের জনগণের বলে উল্লেখ করেন।