নৌ পথে অবৈধভাবে মালোশিয়া যাওয়ার পথে প্রাণগেল দু‘জনের । নিখোঁজ -৩ জন

নৌ পথে অবৈধভাবে মালোশিয়া যাওয়ার পথে প্রাণগেল দু‘জনের । নিখোঁজ -৩ জন

p-01মেহেরপুর অফিসঃ মেহেরপুর আদম ব্যবসায়ীর খপ্পরে প্রাণ দিতে হল  সদর উপজেলার পাটকেলপোতা ও সিংহাটি গ্রামের দুই জনকে। নিখোঁজ রয়েছে আরও তিন জন। আর যারা অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় পোঁছেছে তারাও রয়েছে চরম বিপাকে। নিঃস্ব হয়ে পরিবারের সদস্যরা ভাসছে অথৈই সাগরে।

সরজমিনে- পাটকেল পোতা,ও সিংহাটি গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে কান্নার রোল। সিংহাটি গ্রামের দালাল ইমারুল মালয়েশিয়ায় পোঁছে গিয়ে ১ লাখ ৮০ টাকা দিতে হবে বলে প্রস্তাব দেয় পাটকেল পোতা গ্রামের রাজ মিস্ত্রী, আলামিন, কৃষক দেলোয়ার, মাসুদ রানা, সিংহাটি গ্রামের ফর্নিচার মিস্ত্রী মিয়ারুল ও আতিয়ারকে। বাড়ি থেকে ১৭মার্চ তারা রওনা দেয় কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে। সেখানে তাদের একটি জরাজীর্ন ঘরে আটকিয়ে রেখে তাদের পরিবারের কাছ থেকে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা দাবি করে। দালালালের কথামত তারা ইমারুলের কাছে চার জনের ৯ লাখ বিশ হাজার টাকা পোঁছে দেয়। আলামিনের কোন টাকা লাগবে না বলে তারা জানান। একদিন পর সেখান থেকে তারা কক্সবাজার হয়ে অবৈধভাবে সাগর পথে থাইল্যান্ডে নিয়ে যায়। কয়েকদিন পরে তারা থাইল্যান্ড থেকে ফোন দেয় তাদের পরিবারের কাছে। সেখানে অবস্থানররত বাংলাদেশী একটি দালল চক্র তাদের আটকিয়ে রেখেছে বলে তারা জানায়। দ্বিতীয় দফা তাদের কাছ থেকে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা দাবি করে এ চক্রটি। তাদের কথামত সিংহাটি গ্রামের বিল্লালের ছেলে রিপনের কাছে ২লাখ ১০ হাজার টাকা করে পোঁছে দেয় দেলোয়ার, মাসুদ রানা ও মিয়ারুলের পরিবার। সেখান থেকে তারা জানতে পারে আনারুল ও আতিয়ারকে সাগরে ফেলে দেয়া হয়েছে। পাটকেলপোতা গ্রামের অবৈধপথে মালেয়েশিয়ায় যাওয়া মাসুদ রানার পিতা মান্নাফ মাষ্টার জানান, প্রথম দফায় সিংহাটির দালাল ইমারুলের কাছে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা তুলে দেয়া হয়। পরে তারা থাইল্যান্ড সীমান্তে পোঁছে আবার টাকা দাবি করেন। পরে আবারও একই গ্রামের মালেয়েশিয়া প্রবাসী বিল্লাালের জামায় ইমদাদুলের বাড়িতে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা পোঁছে দেন। তাদের কথা মত দুই জনের টাকা দেয়া হয়। কিন্তু তার পর থেকেই তাদের সন্তানদের আর কোন খোঁজ মিলছেনা। থাইল্যান্ডে থাকা বাংলাদেশী দালালও আর ভূক্তভোগী স্বজনদের ফোন রিসির্ভ করছে। না। এদিকে তারা কি অবস্থায় রয়েছে তা নিয়ে শংকায় দিন কাটছে তাদের পরিবার পরিজনদের। দালাল ইমারুলের ভাবী জানান, তার দেবর আগে নাপিতের কাজ করলেও বেশ কিছু দিন ধরে মালয়েশিয়ায় লোক পাঠাচ্ছে।কোন সমস্য হয়নি। সবাই ভাল মত পৌঁছেছে। কিন্তু এ কয়েক জনের কোন খোজ মিলছেনা। ইমারুল টাকা পয়সা নিয়ে পালিয়েছে। থাইল্যান্ডে থাকা বাংলাদেশী দালালের সাথে মুঠোফোণে যোগযোগ করলে তলে তারা মালয়েশিয়ার জেলে আছে। আর আলামিন ও আতিয়ারের সন্ধান চাইলে তিনি বলেন যার কাছে টাকা দিয়েছেন তার কাছে খোঁজ নেন।

জেলার সংবাদ মেহেরপুর সংবাদ