আমাদের মেহেরপুর ডট কম : সততার সাথে সঠিক ভাবে জেলেদের তালিকা তৈরী করে বাংলাদেশে তাদের সঠিক সংখ্যা কত তা জানতে হবে? এ জন্য তৃনমূল পর্যায়ে তালিকা প্রস্তুতকারীদের নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। দেশে জেলেদের সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া গেলে তাদের উন্নয়নে সরকার সহজে কাজ করতে পারবে। মৎস্য খাদ্য উদ্যোক্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও জেলেদের পরিচয় পত্র প্রদান বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথীর বক্তব্যে কথাগুলো বলেছেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম শফিকুল আলম। বৃহস্পতিবার গাংনী উপজেলা মৎস্য দপ্তর ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গাংনী উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়নের যুগীরগোফা বঙ্গ মৎস্য খামার প্রাঙ্গনে ২ দিন ব্যাপি প্রশিক্ষণে উদ্বোধনে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রধান অতিথীর বক্তব্য রাখছিলেন।ষোলটাকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাবদাল হোসেন কালু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথীর বক্তব্য রাখেন জেলা মৎস্য অফিসার মেজবাহুর রহমান,বিদায়ী জেলা মৎস্য অফিসার বজলুর রশিদ। এ ছাড়া ইউপি সচিব মোঃ জহুরুল ইসলাম, ইউপি সদস্য/সদস্যা সহ এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যাক্তিবর্গ গণ উপস্থিত ছিলেন। গাংনী উপজেলা মৎস্য অফিসার আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথী এ কে এম শফিকুল আলম আরো বলেন, পরিকল্পনা না থাকলে কোন কিছুতে সফলতা আসেনা। তাই পরিবল্পিতভাবে দেশকে এগিয়ে নিতে হলে দূর্নীর্তি বাজদের বয়কট করতে হবে। সরকারী দল ও বিরোধীলের রাজনীতি কর্মকান্ড সন্মন্ধে বলতে গিয়ে প্রধান অতিথী বলেন- যখন কোন দল সরকারে আসে তখন সে দলের ২৫/৩০ জন সুবিধা ভোগ করে। আর সে সময় বিরোধী দলের ৮/১০ হাজার কর্মী ও নিরীহ লোক হামলা বা মামলার স্বীকার হন। তাই এই হিং¯্র রাজনৈতিক বলয় থেকে আমাদের সকলকে বেরিয়ে আসতে হবে। দেশ ও সমাজকে পরিবর্তন করতে হলে আমাদের মধ্যে থেকেই নেতৃত্ব তৈরী করতে হবে। শুধু আমাদের নিজেদের কথা চিন্তা করলেই হবে না। আগামীতে আমাদের সন্তানদের জন্য বাসযোগ্য করে পৃথিবীতে পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে । ষোলটাকা ইউনিয়নের ১৬ জন মৎস্য চাষী ও খাদ্য উদ্যোক্তা ২ দিন ব্যাপি এ প্রশিক্ষনে অংশ গ্রহন করেন ।