আজ বিকালে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু বলেন, সরকার বিরোধী দলের চলমান আন্দোলনে পেরে উঠছে না। আন্দোলনকে ঠেকাতে সরকার মরিয়া হয়ে উঠেছে। সরকার বিরোধী দলের আন্দোলন ঠেকাতে ও তারেক রহমানকে রাজনৈতিকভাব হেয়প্রতিপন্ন ও তার ব্যক্তিত্ব ক্ষুণœ করতে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য ইন্টারপোলের সহায়তা চেয়ে আবেদন করেছে।
দুদকের অতীত ও বর্তমান কার্যক্রম বিশ্লেষণ করলে মনে হয়, এটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক ছাড়া ভাল কিছু বলা যাবে না। পুঁজিবাজার, হলমার্ক, পদ্মা সেতুসহ ব্যাংকিং খাত থেকে ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার কোটি টাকার অভিযোগ বাদ দিয়ে ওয়ান ইলেভেনের দলবিদ্বেষী সরকারের কথিত মিথ্যা অভিযোগ ব্যাপারে দুদকের এই সিদ্ধান্ত দেখে মনে হচ্ছে- এটা গত দুদিন আগের আইনপ্রতিমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের প্রতিফলন ।
সরকার বিষয়টি সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখছে তারেক রহমান উচ্চ আদালতের জামিন নিয়ে আইনের আওতায় লন্ডনে চিকিৎসা নিতে অবস্থান করছেন। আইন মোতাবেক সব কিছু চলছে।আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, এ বিষয়টি রাজনীতিকরণ করা হলে আমরা তা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবো। হয় আইনে চললে আইনি পথে আমরা বিষয়টি দেখবো। তিনি অভিযোগ করে বলেন, দেশের এখন বড় সমস্যা আগামী নির্বাচন কিভাবে করা যাবে। এ বিষয়ে সরকার তরফ থেকে মাঝে-মধ্যে সংলাপের কথাও বলা হচ্ছে।তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে আনীত কোন মামলা প্রত্যাহার করেনি। উল্টো আরও নতুন নতুন মামলা দেয়া হয়েছে।
ওয়ান ইলেভেনের সময় তৎকালীন সরকার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রয়াত নেতা আবদুল জলিল, আবদুর রাজ্জাক, মোহাম্মদ নাসিমসহ আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ ছিল বর্তমান এ বিষয়ে সরকার তরফ থেকে ক্ষমতায় এসে সব মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। কিন্তু বিরোধী দলের ক্ষেত্রে উল্টো মামলা দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি লন্ডনে একটি দলীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আয়োজনে সরকারের প্রতি চাপ দিতে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।তার এ বক্তব্যের দুদিনের মাথায় তারেক রহমানকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনতে ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে আবেদন করেন দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল। শুনানি শেষে আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. মোজাম্মেল হক এ আবেদন মঞ্জুর করেন।