জুমআতুল বিদা মসজিদুল আকসা##বাইতুল মুকাদ্দাস বা মসজিদুল আকসা ##

বাইতুল মুকাদ্দাস বা মসজিদুল আকসা দিবস

জুমআতুল বিদা মসজিদুল আকসা দিবস।
——————————————————————- বাইতুল মুকাদ্দাস বা মসজিদুল আকসা যা ফিলিস্তিনের জেরুজালেম নামক পবিত্র স্থানে অবস্থিত। হজরত ইব্রাহিম (আঃ) কাবাঘর নির্মাণের ৪০ বছর পর, তার পুত্র হজরত ইসহাক (আঃ)এর সন্তান হজরত ইয়াকুব (আঃ) জেরুজালেমে ” আল আকসা ” মসজিদটি নির্মাণ করেন। এরপর তার পুত্র হজরত ইউসুফ (আঃ) এর বংশধর হজরত দাউদ (আঃ) এর সন্তান হজরত সুলাইমান (আঃ) তা পুননির্মাণ করেন। মক্কার মসজিদুল হারাম ও মদিনার মসজিদে নববীর পর ৩য় পবিত্রতম স্থান হচ্ছে “বাইতুল মুকাদ্দাস বা মসজিদুল আকসা “। ৬৩৮ সালে ইসলামের ২য় খলিফা হজরত উমর (রাঃ) এর খিলাফতকালে বাইতুল মুকাদ্দাস জেরুজালেম সহ পুরো ফিলিস্তিন মুসুলমানদের অধিকারে আসে। ১০৯৯ সালে খ্রিস্টান ক্রুসেডেরা সমগ্র সিরিয়া ফিলিস্তিন জবরদখল করে নেয়। ১১৮৭ সালে মুসলিম বীর সিপাহশালার সুলতান সালাউদ্দিন আইয়ুবি (রহ,) পুনারায় জেরুজালেম শহর মুসুলমানদের অধিকারে আনেন।

এরপর থেকে পরাজিত খ্রিষ্টান ওইহুদি চক্র ফিলিস্তিন থেকে শুরু করে মদিনা শরিফ পর্যন্ত সারা মুসলিম এলাকা নিয়ে বৃহত্তর ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র করতে থাকে । এ অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য ইহুদিরা তৎকালিন তুরস্কের শাসক সুলতান আঃ হামিদের কাছে ফিলিস্তিন বসতির অনুমতি চায়। দুরদর্শি সুলতান তাদের এ দুরভিসন্ধিমুলক প্রস্তাবে রাজি হননি। তা সত্বেও ইহুদিরা গোপনে ফিলিস্তিন ভুমি আয়ত্ত করতে থাকে।

১ম বিশ্বযুদ্ধ জয়ের পর ব্রিটেন স্বাধীনতা দেয়ার অঙ্গীকারে ১৯১৮ সাল থেকে ৩০ বছর দেশটিকে নিজেদের অধীন রাখে। মূলত এইসময়টিই ফিলিস্তিন কে আরবশূন্য করার জন্য ভালভাবেই কাজে লাগায় ইঙ্গ- মার্কিন জোট। এ সময় ব্রিটিশ অন্যায় ভাবে মুসলমানদের ফিলিস্তিন ভূমিকে মুসলমান ও ইহুদিদের মাঝে ভাগ করে দেয়। এরই ফলে ১৯৪৮ সালে অবৈধ ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৬৭ সালে ইসরায়েল আক্রমন চলিয়ে “মসজিদুল আকসা ” জবরদখল করে নেয়। জেনে রাখা দরকার যে, শুরুতে ‘কাবা ‘ কিবলা থাকলেও মাঝে মসজিদুল আকসা কিবলা হিসাবে স্বীকৃত হয়। হজরত মোহাম্মদ ( সঃ) ওহি লাভ ও নবুয়ত প্রকাশের সময় ‘বায়তুল মুকাদ্দাস ‘ই কিবলা ছিল। মদিনায় হিজরতের প্রায় দেড় বছর পর এই কিবলা আবার পরিবর্তিত হয়ে ” কাবা ” কিবলা হিসেবে নির্ধারিত হয়। “মসজিদুল আকসা বা বাইতুল মুকাদ্দাস ” মুসুলমানদের কাছে সব সময়ই সন্মানীত। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) মিরাজ রজনীতে কাবা শরিফ থেকে মসজিদুল আকসা বা বইতুল মুকাদ্দাস প্রথম সফর করেন। অথচ মুসুলমানদের এই পূর্ণভূমি আজ ইহুদিদের দখলে। ১৯৭৯ সাল থেকে এই মসজিদকে ইহুদিদের হাত থেকে মুক্ত করতে সমগ্র মুসলিমউম্মাহ প্রতিবছর রমজান মাসের শেষ শুক্রবার জুমাতুল বিদার দিনে “মসজিদুল আকসা বা বাইতুল মুকাদ্দাস ” দিবস পালন করে।

হে আল্লাহ ইহুদিদের কবল থেকে তুমি এই মসজিদ রক্ষা করো। আমিন। দিবস।

—————————————————————– বাইতুল মুকাদ্দাস বা মসজিদুল আকসা যা ফিলিস্তিনের জেরুজালেম নামক পবিত্র স্থানে অবস্থিত। হজরত ইব্রাহিম (আঃ) কাবাঘর নির্মাণের ৪০ বছর পর, তার পুত্র হজরত ইসহাক (আঃ)এর সন্তান হজরত ইয়াকুব (আঃ) জেরুজালেমে ” আল আকসা ” মসজিদটি নির্মাণ করেন। এরপর তার পুত্র হজরত ইউসুফ (আঃ) এর বংশধর হজরত দাউদ (আঃ) এর সন্তান হজরত সুলাইমান (আঃ) তা পুননির্মাণ করেন। মক্কার মসজিদুল হারাম ও মদিনার মসজিদে নববীর পর ৩য় পবিত্রতম স্থান হচ্ছে “বাইতুল মুকাদ্দাস বা মসজিদুল আকসা “। ৬৩৮ সালে ইসলামের ২য় খলিফা হজরত উমর (রাঃ) এর খিলাফতকালে বাইতুল মুকাদ্দাস জেরুজালেম সহ পুরো ফিলিস্তিন মুসুলমানদের অধিকারে আসে। ১০৯৯ সালে খ্রিস্টান ক্রুসেডেরা সমগ্র সিরিয়া ফিলিস্তিন জবরদখল করে নেয়। ১১৮৭ সালে মুসলিম বীর সিপাহশালার সুলতান সালাউদ্দিন আইয়ুবি (রহ,) পুনারায় জেরুজালেম শহর মুসুলমানদের অধিকারে আনেন।

 

এরপর থেকে পরাজিত খ্রিষ্টান ওইহুদি চক্র ফিলিস্তিন থেকে শুরু করে মদিনা শরিফ পর্যন্ত সারা মুসলিম এলাকা নিয়ে বৃহত্তর ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র করতে থাকে । এ অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য ইহুদিরা তৎকালিন তুরস্কের শাসক সুলতান আঃ হামিদের কাছে ফিলিস্তিন বসতির অনুমতি চায়। দুরদর্শি সুলতান তাদের এ দুরভিসন্ধিমুলক প্রস্তাবে রাজি হননি। তা সত্বেও ইহুদিরা গোপনে ফিলিস্তিন ভুমি আয়ত্ত করতে থাকে।

 

১ম বিশ্বযুদ্ধ জয়ের পর ব্রিটেন স্বাধীনতা দেয়ার অঙ্গীকারে ১৯১৮ সাল থেকে ৩০ বছর দেশটিকে নিজেদের অধীন রাখে। মূলত এইসময়টিই ফিলিস্তিন কে আরবশূন্য করার জন্য ভালভাবেই কাজে লাগায় ইঙ্গ- মার্কিন জোট। এ সময় ব্রিটিশ অন্যায় ভাবে মুসলমানদের ফিলিস্তিন ভূমিকে মুসলমান ও ইহুদিদের মাঝে ভাগ করে দেয়। এরই ফলে ১৯৪৮ সালে অবৈধ ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৬৭ সালে ইসরায়েল আক্রমন চলিয়ে “মসজিদুল আকসা ” জবরদখল করে নেয়। জেনে রাখা দরকার যে, শুরুতে ‘কাবা ‘ কিবলা থাকলেও মাঝে মসজিদুল আকসা কিবলা হিসাবে স্বীকৃত হয়। হজরত মোহাম্মদ ( সঃ) ওহি লাভ ও নবুয়ত প্রকাশের সময় ‘বায়তুল মুকাদ্দাস ‘ই কিবলা ছিল। মদিনায় হিজরতের প্রায় দেড় বছর পর এই কিবলা আবার পরিবর্তিত হয়ে ” কাবা ” কিবলা হিসেবে নির্ধারিত হয়। “মসজিদুল আকসা বা বাইতুল মুকাদ্দাস ” মুসুলমানদের কাছে সব সময়ই সন্মানীত। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) মিরাজ রজনীতে কাবা শরিফ থেকে মসজিদুল আকসা বা বইতুল মুকাদ্দাস প্রথম সফর করেন। অথচ মুসুলমানদের এই পূর্ণভূমি আজ ইহুদিদের দখলে। ১৯৭৯ সাল থেকে এই মসজিদকে ইহুদিদের হাত থেকে মুক্ত করতে সমগ্র মুসলিমউম্মাহ প্রতিবছর রমজান মাসের শেষ শুক্রবার জুমাতুল বিদার দিনে “মসজিদুল আকসা বা বাইতুল মুকাদ্দাস ” দিবস পালন করে।

 

হে আল্লাহ ইহুদিদের কবল থেকে তুমি এই মসজিদ রক্ষা করো। আমিন। সংগৃহীত

অন্যান্য আন্তর্জাতিক নির্বাচিত