ফারুখ আহমেদ আমাদের মেহেরপুর ডট কম ঃ মেহেরপুরের গাংনী থানার এএসআই শওকত আলীর বিরুদ্ধে সালিক বৈঠকে ও পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের নামে জোর পূর্বক অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ২০১২ সালের শেষ দিকে হেমায়েতপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ থাকা কালিন সময়ে আমতৈল মানিকদিয়া গ্রামের নিরিহ লোকজন কে মামলার ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছিল।এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে তৎকালিন সময়ে তাকে গাংনী থানায় বদলী করা হয়। গাংনী থানায় যোগদানের পর পরই আবার শুরু হয় অর্থ বানিজ্য। স্থানীয় সূত্র জানায়,সম্প্রতি সময়ে গাংনী উপজেলার চেংগাড়া গ্রামের আব্দুল বারির ক্ষেত থেকে শরিষার কয়েক টি গাছ কাটার কারনে ধর্মচাকী গ্রামের হুমাই ও শুধুর নামে গাংনী থানায় অভিযোগ করা হয়।অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাদী আব্দুল বারী বিবাদী হুমাই ও শুধু কে থানায় ডেকে সালিশে বসে এএসআই শওকত। সালিশ বৈঠকে বিবাদীরা বাদীর কাছে ক্ষমা চেয়ে পার পেলেও ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে এএসআই শওকত কে খুশি করতে হয় বিবাদীদের। এছাড়া গত শুক্রবার আমতৈল গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে আলমগীর হোসেনের পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন করার নামে তার বাড়ি গিয়ে বড় আঙ্কের টাকা দাবী করলেও পরে ৫ শত টাকা দেয়া হলেও নানা অজুহাত তুলে শনিবার গাংনী থানায় দেখা করার জন্য বলে। আলমগীর হোসেন জানান,দারিদ্রতার কারনে কর্মসংস্থানের জন্য প্রবাশে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট করতেই তাকে বিড়ম্বনার শ্বিকার হতে হচ্ছে। এএসআই শওকত আলীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলবেননা বলে জানান। এব্যাপারে গাংনী থানার ওসি মিজানুর রহমান খাঁন বলেন অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।