গাংনীর হেমায়েতপুর পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এএসআই মজনুর বিরুদ্ধে অর্থ বানিজ্যর অভিযোগ।

গাংনীর হেমায়েতপুর পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এএসআই মজনুর বিরুদ্ধে অর্থ বানিজ্যর অভিযোগ।

imgresআমাদের মেহরপুর ডট কম ঃ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হেমায়েতপুর পুলিশ ক্যাম্পের অদুরে শিমূলতলা ও মিনাপাড়া সম্প্রতি সময়ে দুটি হত্যাকান্ড বাড়িঘর লুটপাট অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটলেও পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এএসআই মজনুর রহমান বহাল তবিয়তে রয়েছে। কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় তিনি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এদিকে হেমায়েতপুর ক্যাম্পের ইনচার্জ এএসআই মজনুর চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে এলাকার জনসাধারণ। এলাকাবাসিরা অভিযোগ করে বলেছেন,এএসআই মজনুর চাঁদাবাজীর স্বীকার হয়েছেন এ উপজেলার জোড়পুকুরিয়া গ্রামের সিরাজের ছেলে মিঠুন ও তার প্রেমিকাকে আটক করে হেমায়েতপুর ক্যাম্পে নিয়ে ১০ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেই। সহড়াবাড়িয়া গ্রামের হবি দফাদারের ছেলে ওহিদুল ইসলামের কাছ থেকে জমিজমা সংক্রান্ত মামলা মিমাংশা করে দেওয়ার নাম করে ২৫ হাজার টাকা উৎকোচ নেন। এছাড়া আমতৈল গ্রামের জুঁয়া বোর্ডের কাছ থেকে প্রতিদিন ১০ হাজার টাকা করে মাশোহারা তুলছেন। এএসআই মজনু বিভিন্ন গ্রামের সাধারন নিরিহ মানুষ কে মামলার ভয় দেখিয়ে গণহারে চাঁদাবজি করে চলেছে বলে অভিযোগ করেছে এলাকার নিরীহ মানুষ। এঘটনায় ফুঁসে উঠেছে এলাকার সকল শ্রেনীর পেশার লোকজন। তাছাড়া শুধু জামায়াত বিএনপিই নয় আওয়ামীলীগের সাধারণ কর্মিরাও এএসআই মজনুর চাঁদাবাজির হাত থেকে রেহায় পাচ্ছেননা। আর গ্রেফতার বানিজ্য করতে বিভিন্ন গ্রামে দালাল কে নিয়োগ দিয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। এসব দালালদের মাধ্যমে চলছে অর্থ আদায়। অপরদিকে হেমায়েতপুর পুলিশ ক্যাম্পের অধিনস্ত গ্রাম গুলিতে আইনসৃংক্ষলার ব্যাপক অবনতি হলেও কর্তৃপক্ষে যেন কিছুই করার নেই। এবিষয়ে গাংনী থানার ওসি আলমগীর হোসেন বলেন,এএসআই মজনুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গুলি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মেহেরপুর সংবাদ