গাংনীতে নতুন করে আরো ৫ জনএ্যানথ্রাক্্র রোগে অক্রান্ত। রুগ্ন গরু ছাগল জবাই চলছেই।

গাংনীতে নতুন করে আরো ৫ জনএ্যানথ্রাক্্র রোগে অক্রান্ত। রুগ্ন গরু ছাগল জবাই চলছেই।

p-066 meherpur antrax file pic (1)ফারুক আহমেদ, আমাদের মেহেরপুর ডট কম ঃ প্রায় প্রতিদিনই নতুন করে গাংনী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের নারী পুরুষ এ্যানথ্রাক্্র রোগে অক্রান্ত হচ্ছে। গত দু দিনে আরো ৫ জন এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তরা হলেন,কাজিপুর গ্রামের খজিরন নেছা (৩২) ,আকুবপুর গ্রামের আম্বিরন (৩০) রামদেবপুর গ্রামের শাহেদা খাতুন (২৮) করমদী গ্রামের হাফিজুল (২৫) ও রামদেবপুর গ্রামের শফি(২৮)।এদিকে উপজেলার সিমন্তবর্তী কয়েকটি গ্রামের নারী পুরুষরা আবারো এ্যানথ্রাক্্র রোগে অক্রান্ত হলেও এখন বন্ধ হয়নী রুগ্ন গরু ছাগল জবাই। তাছাড়া গাংনী, বাঁশবাড়িয়া, কাজিপুর,করমদী,বামন্দী,ধানখোলা ও গাড়াডোব বাজারে অবাধে চলছে রুগ্ন গরু ছাগল জবাই করা হচ্ছে। আর এসব রুগ্ন পশুর মাংস খেয়ে এ্যানথ্র্যাক্্র রোগ থেকে রেহাই পাচ্ছেনা শিশুরাও। খামারীরা এ্যানথ্র্যাক্্র রোগ আতঙ্কে অল্প দামেই গরু ছাগল বিক্রি করছে। একারনে তারা ঋনের বোঝা টানতে গিয়ে হিমসিম খেতে হচ্ছে। গাংনী হাসপাতাল সূত্র জ্নাায়,গত ৪ বছরে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ৩ শতাধিক নারী,পুরুষ ও শিশু এ্যানথ্র্যাক্্র রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পশু হাসপাতার সূত্র জানায়,গত ৪ এ্যানথ্র্যাক্্র রোগে অর্ধশতাধিক গরু,ছাগল মারা গেছে। পশু জবাই করার আগে ডাক্তারি পরিক্ষার নিয়ম থাকলেও এর তোয়াক্কা করছেনা কসাইরা। আর যত্রতত্র রুগ্ন পশু জবাই হলেও নিরব দর্শকর ভূমিকা পালন করছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে রুগ্ন পশুর চিকিৎসার নামে এক শ্রেনীর প্রতারক চক্র নিজেকে ডাক্তার দাবি করে অপচিকিৎসা দিচ্ছে।তাছাড়া হাতুড়ী পশু ডাক্তারদের দৌরাত্ব বৃদ্ধি পাওয়ায় পশু মালিকরাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। স্থানীয় চামড়ার আড়ৎদাররা জানান,দ্রত পশুর এ্যানথ্র্যাক্্র রোগ নিরাময় না করা গেলে আসছে ঈদে চামড়া ব্যাবসায় ধস নামতে পারে।

মেহেরপুর সংবাদ