খড়্গপুরের পরে এ বার দুর্গাপুরেও ‘গণধর্ষণে’র শিকার হলেন এক তরুণী। গত ৩০ অগস্ট দুর্গাপুরেরই ফুলঝোড়ে এক মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরীকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। এ বার ঘটনাস্থল সিটি সেন্টার এলাকায় পিয়ালা কালীবাড়ির কাছে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধার | রবিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ সেখানেই আসানসোল থেকে আসা এক তরুণীর স্বামীকে আটকে রেখে তাঁকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। সিটি সেন্টার ফাঁড়ি থেকে মাত্র কিলোমিটার খানেকের মধ্যে বেশ কিছু ক্ষণ ধরে এই ঘটনা ঘটলেও পুলিশের কোনও টহলদার ভ্যানের দেখা মেলেনি। তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি আসানসোলের একটি ডায়গনস্টিক সেন্টারের অংশীদার। অন্য অংশীদার ষাটোর্ধ্ব এক চিকিৎসক। মাস দুয়েক আগে তাঁর বিয়ে হয়েছে। স্বামী হুগলির তারকেশ্বরে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ব্রাঞ্চ রওনা দেওয়ার আগে তাঁর স্ত্রী রাস্তার পাশে গাছের পিছনে প্রাকৃতিক কাজ সারতে গিয়েছিলেন। ঠিক সেই সময়ে কাছেই জঙ্গলের দিক থেকে মোটরবাইকে তিন যুবককে আসতে দেখেন তিনি কিন্তু কয়েক মুহূর্তের মধ্যে রাস্তার উল্টো দিক থেকে আট-দশ জন এসে তাঁকে ঘিরে ফেলে। তাঁর কথায়, “বাধা দিতে গেলে ওরা আমায় মারধর করে। চিৎকার করলে মেরে ফেলার ভয় দেখায়।” এই সুযোগে দু’জন তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। হাসপাতালে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়। হাসপাতাল সুপার দেবব্রত দাস জানান, তাঁর শরীরে বেশ কিছু ক্ষত রয়েছে। দেহরস সংগ্রহ করে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সকালে স্বামী-স্ত্রীকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার অজয় নন্দ। দুর্গাপুরের এডিসিপি (পূর্ব) সুনীল যাদবের দাবি, কারা এই ঘটনায় যুক্ত তা আন্দাজ করা গিয়েছে। তাদের ধরার চেষ্টা চলছে।