নয়ন আমাদের মেহেরপুর ডট কম ঃ একটি বৃহৎ বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে পুরানো গ্রাহক চলে যাবে, নতুন গ্রাহক আসবে, এটা স্বাভাবিক। কোন অভিযোগ বা কোন আইন মানতে-শুনতে আমি বা ইসলামি ব্যাংক বাধ্য নয় । কারা এবং কি পরিমান গ্রাহক ব্যাংক হিসাব বন্ধ করে অন্যত্র চলে গেছেন তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই বলে তিনি জানান। ইসলামি ব্যাংকের গ্রাহক হয়রানি প্রসঙ্গে উপরোক্ত কথা গুলি বললেন মেহেরপুর ইসলামী ব্যাংকের মেহেরপুর শাখা ব্যবস্থাপক আব্দুর রশিদ।
ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকরা ব্যাংক কর্মকর্তা- কর্মচারির আসৌজন্যমূলক আচরন ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ এনে গত তিন মাসে শতাধিক এ্যাকাউন্ট হোল্ডার তাদের হিসাব তুলে নিয়ে এ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিছেন। এ অভিযোগ ইসলামি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন গ্রাহকরা কিন্তু কোন সুরাহা পায়নি।।
ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকরা জানান, তারা ব্যাংকের শাখাব্যবস্থাপক ও সেকেন্ড অফিসারের গ্রাহকদের কোন অভিযোগ গ্রহন করছেন না বরং কোন অভিযোগ নিয়ে গেলে তারা গ্রাহকদের গালিগালাজ সহ দেখে নেবার হুমকি দিচ্ছেন, তাই তারা তাদের ব্যাংক হিসাব এই ব্যাংক থেকে প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন।
মেহেরপুর প্রেস্টি শপ প্রতিষ্ঠানের মালিক মাহাবুবুল জানান- তিনি এই ব্যাংকের একজন গ্রাহক । গত কয়েকদিন আগে তার এটিএম বুথে কার্ড আটকিয়ে যায় তিনি সেকেন্ড অফিসারের কাছে এটিএম বুথে কার্ড আটকানোর অভিযোগ নিয়ে গেলে তিনি তাকে তেড়ে মারতে আসেন। এ বিষয়ে তিনি শাখ ব্যবস্থাপককে লিখিত অভিযোগ দিলে শাখা ব্যবস্থাপক লিখিত অভিযোগ গ্রহণে আইন গত বাধ্যবাধকতা নেই জানিয়ে সে অভিযোগ গ্রহণ করেনি। পরবর্তিতে তিনি লিখিত ভাবে প্রধান কার্যালয়ে জানালেও এখনও পযন্ত কোন বিহিত পায়নি বলেও তিনি জানান।
ইউনিলিভার্স কোম্পানীর মেহেরপুর জেলা সরবরাহকারী গোলাম মোস্তফা জানান- ইসলামী ব্যাংকের সাথে আমাদের ইউনিলিভার কোম্পানির পক্ষ থেকে লিখিতভাবে লেনদেনের চুক্তি থাকলেও মেহেরপুর শাখায় কর্মরত কর্মকর্তাদের দুর্ব্যাবহার ও মারমুখি আচরনের কারনে বাধ্য হয়ে অন্য ব্যাংকের সাথে লেন দেন করছি।
ইবনে সিনা ফাসর্মাসিটিক্যালের মেহেরপুর এরিয়া ম্যানেজার মজিবুর রহমান বলেন, ইবনে সিনা ও ইসলামী ব্যাংক এর মধ্যে লেন দেনের চুক্তি থাকলেও মেহেরপুর শাখার কর্মকর্তাদের অসৌজন্য মূলক আচারনের জন্য আমি চুয়াডাঙ্গা ও যশোর থেকে লেন দেন করি ।
মেসার্স ইসমাইল ট্রের্ডাসের মালিক ইসমাইল হোসেন বলেন, আমি ইসলামী ব্যাংকে একটি এলসি খুলি, ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আমার পূর্বনুমতি না নিয়েই আমার এলসি ছাড় করিয়ে আমাকে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতিগ্রস্থ করেছেন এ জন্য আমি আদালতে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
জানা গেছে, গ্রামীণ ফোনের ডিলার কার্জন আহমেদ, কেয়া স্টোরের মালিক হাফিজুর রহমান সহ বড় বড় প্রতিষ্ঠান প্রধানরা একই কারণে ইসলামী ব্যাংক থেকে তাদের হিসাব বন্ধ করে দিয়েছেন।