উষ্ণ চুম্বনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মিয়ানমারে গণতন্ত্রের সংস্কার ও  জাতীয় পুনর্জাগরণ চাইলেন-

উষ্ণ চুম্বনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মিয়ানমারে গণতন্ত্রের সংস্কার ও জাতীয় পুনর্জাগরণ চাইলেন-

 

আমাদের মেহেরপুর ডট কমঃ

গতকাল ৬ ঘণ্টার সফরে মিয়ানমারে নেমে তিনি সেখানে গণতন্ত্রের যে সংস্কার শুরু হয়েছে তার ভূয়সী প্রশংসা করেন। মিয়ানমারে ঐতিহাসিক সফরে এসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা রাখাইন প্রদেশে মুসলমান ও বৌদ্ধদের মধ্যে চলমান দাঙ্গার অবসান ঘটানোর আহ্বান জানিয়েছেন।   ইয়াঙ্গনে সাক্ষাৎ করেন বিরোধীদলীয় নেত্রী অং সান সু চির সঙ্গে। সেখানে তিনি সু চিকে উষ্ণ চুমু দেন। সঙ্গে সঙ্গে ক্যামেরার ফ্লাশ জ্বলে উঠতে থাকে। সারা বিশ্বে  মধ্যে ছড়িয়ে যায় সে ছবি।  ওবামা  বলেছেন, জাতীয় পুনর্জাগরণে সময় লাগবে। কিন্তু মানবতার জন্য, মিয়ানমারের জন্য এই উত্তেজনা ও দাঙ্গা থামানো প্রয়োজন।

 

ওবামা যখন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন স্বাগত জানিয়ে অসংখ্য মানুষ  তার ওপর ফুল ছিটিয়ে দিতে থাকে । অনেকে মোবাইল ফোনে, ক্যামেরায় তার ছবি ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করে। নির্বাচিত হওয়ার পর এটাই ওবামার প্রথম বিদেশ সফর। একই সঙ্গে কোন মার্কিন প্রেসিডেন্টের এটাই প্রথম মিয়ানমার সফর। তার সফরের দিকে বাংলাদেশ সহ এশিয়ার মানুষের এখন সতর্ক দৃষ্টি।

 

  আর চীন এ সফরকে দেখছে তাদের অর্থনৈতিক প্রভাবের ওপর মার্কিন আধিপত্য হিসেবে। চীন এশিয়ায় অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যে প্রভাব বিস্তার করেছে, বিশেষ করে মিয়ানমারে যুক্তরাষ্ট্র সে অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে চায়- এমন মন্তব্য করছেন বিশ্লেষকরা। রোববার নিউ ইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, গত মাসে কিউক ফিউ শহরে কামান মুসলমানদের যখন স্থানীয় নিরাপত্তারক্ষীরা হত্যা করে তখন সেনাবাহিনী বা পুলিশ ছিল নীরব দর্শক। ওদিকে বৌদ্ধ ও রোহিঙ্গা মুসলমানদের মধ্যে সংঘটিত দাঙ্গায় কমপক্ষে ১৬৭ জন নিহত হয়েছে। রোহিঙ্গা মুসলমানদের অবৈধ অভিবাসী হিসেবে গণ্য করে মিয়ানমার। তারা দাবি করে, এসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশের নাগরিক। তাই সরকার তাদের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না।  এ বিষয়টিতে বারাক ওবামা বলেছেন, মিয়ানমারের নাগরিকরা সত্তার দাবিদার, রোহিঙ্গারাও তা দাবি করতে পারে।

 

আন্তর্জাতিক