আবারো গাংনীতে নারী ও শিশুসহ ৭ জন অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত

আবারো গাংনীতে নারী ও শিশুসহ ৭ জন অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত

gagni mapফারুক আহমেদ,আমাদের মেহেরপুর ডট কম: আবারো রুগ্ন গরুর মাংস খেয়ে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রামদেবপুর গ্রামের নারী ও শিশু সহ ৭ জন অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ৭ জনকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত গরুর মাংস খেয়ে ও নাড়াচাড়া করায় তারা অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানান চিকিৎসকরা।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, রামদেবপুর গ্রামের মোক্তারুল ইসলামের একটি গরু কয়েক দিন আগে অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে , গরুটি জবাহ করে মাংস বিক্রি করা হয়। এর পর থেকে কয়েকজনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত দেখা দেয়। এদের মধ্যে রামদেবপুর গ্রামের শিশু আব্দুল্লাহ (০২), আওলিয়া খাতুন (১১), মহাবুল ইসলাম (২৮), রশিদা খাতুন (৪০), মুক্তারুল ইসলাম (২৫), রেবেকা খাতুন (২৬) ও নিছারন খাতুনকে (২৮) গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়।
আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত গরুর মাংস ও নাড়িভুড়ি নাড়াচাড়া করায় তারা অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হতে পারে। তাদেরকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে গাংনী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ প্রহলাদ কুমার মন্ডল (ভারপ্রাপ্ত) জানান,আমরা বিষয়টি জানতে পেরেছি, দ্রত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
অবাধে রুগ্ন গরু ছাগল জবাই করছে পৌর এলাকার বাঁশবাড়িযা বাজারে করিম কসাই, সহ গাংনী বাজার,কাজিপুর,করমদু,বামুন্দীর কসাইরা। স্থানীয়রা জানায়,কর্তৃপক্ষের তদারকি না থাকা এসব রুগ পশু জবাই করা হচ্ছে।
মেহেরপুর সংবাদ