আন্দোলন ও নির্বাচনের যৌথ প্রস্তুতি চলছে বিএনপিতে।

আন্দোলন ও নির্বাচনের যৌথ প্রস্তুতি চলছে বিএনপিতে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে কর্মসূচি জোরদারের পাশাপাশি আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতিও সেরে রাখতে চায় দলটি। গত নির্বাচনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় ও তৃণমূলের একাধিক নেতাদের সঙ্গে আলাপে এমন তথ্য জানা গেছে। বিএনপি নেতারা জানান, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষার প্রধান শর্ত নির্বাচন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার নিজেদের অধীনে নির্বাচন করে ক্ষমতা ধরে রাখতে সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি বাতিল করেছে। এখন নির্বাচনে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে তা সম্পন্ন করার জন্য নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিকল্প নেই। দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি বিবেচনায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে মুখর হয়ে উঠেছে দুই জোটের বাইরের রাজনৈতিক দলগুলোও। দেশবাসীও এখন এ ইস্যুতে একাট্টা। নেতারা জানান, আন্দোলনের নৈরাজ্যময় সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও জনমত জোরালো করার মাধ্যমে বিরোধী দল ইস্যুটির নিষ্পত্তি চাইলেও সরকারের অবস্থান অনড়। বিরোধী দলের আন্দোলন দমনে কঠোর মনোভাবের পরিবর্তন আসেনি সরকারের তরফে। এছাড়া ১৮ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামীর ব্যাপারে সরকারের মনোভাব ও দলটির ঐতিহাসিক দায় নিয়েও নতুন করে ভাবতে হচ্ছে বিএনপিকে। বিশেষ করে প্রকাশ্যে জামায়াতের ওপর নির্যাতন এবং গোপনে তাদের সঙ্গে সরকারের যোগাযোগ বিরোধী দলের আন্দোলনকে মুখোমুখি করেছে নতুন এক মেরুকরণের। অন্যদিকে বিএনপিকে বাদ দিয়ে জাতীয় পার্টি বা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে তৃতীয় কোন জোটের অংশগ্রহণে নিজেদের অধীনে একটি নির্বাচন করতে চায় সরকার। সে নির্বাচনে জামায়াতের অংশগ্রহণও নিশ্চিত করতে চায় তারা

রাজনীতি