মেহেরপুর সদর উপজেলার শুভরাজপুর গ্রামের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র শিশু আতিউর অপহরনের ৫ দিন অতিবাহিত হলেও এখনও উদ্ধার করতে পারেনী প্রশাসন। একদিকে ছেলে অপহরন অপরদিকে বোমা আঘাতে পিতা হত্যার ঘটনায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে আতিউরের মা সামেনা বেগম। আর শোকের মাতম বইছে গোটা পরিবারে।
স্থানীয়রা জানায়,মেহেরপুর সদর উপজেলার শুভরাজপুর গ্রাম ভারতীয় সিমান্ত ঘেষা হওয়ায় সন্ত্রাসীরা অপহরন করে দ্রত ভারতীয় সিমান্তে প্রবেশ করতে পারার কারনে প্রায় অপহরনের ঘটনা ঘটছে।
শিশু আতিউর রহমানের মত মুক্তি পনের দাবিতে গত কয়েক বছরে একই গ্রামের অন্তত আরো ১০ জন কে অপহরন করে ভারতে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। অপহৃতরা হলেন,শুভরাজপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে রায়হান, সাত্তারের ছেলে সুজন, ওয়াজেদের ছেলে পন্জতুল¬াহ, মওলাবক্স-এর ছেলে মতিন, আসাদের ছেলে সাবদার আলি ও সফিউল মাষ্টারের ছেলে জহন আলি প্রমুখ। পরে সন্ত্রাসীরা মোটা অংকের টাকা মুক্তিপন নিয়ে ছেড়ে দেয় তাদের।
এদিকে শিশু আতিউর রহমানের ঘটনার পরই জেলার বিভিন্ন সিমান্তে বসবাসরত পরিবারের মধ্যে বইছে অপহরন আতঙ্ক। এদিকে অপহরনের পর আফ্রিকায় কর্মরত আতিউরের পিতার কাছে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবি করেছে বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে মেহেরপুরের পুলিশ সুপার একেএম নাহিদুল ইসলাম জানান,সিমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে। অপহৃত শিশু আতিউর রহমান কে খুব শিগ্রই উদ্ধার ও স্কুল শিক্ষক আব্দুল হালিমের খুনিদের আটকের জোর চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য ঃ গতবুধবার রাত ২ টার দিকে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা না পেয়ে আতিউর রহমান কে অপহরন ও তার নানা স্থানীয় স্কুল শিক্ষক আব্দুল হালিম (৫০) কে বোমা মেরে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।